ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে এক শিক্ষকাকে লাঞ্ছিত করেছে এক বখাটে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, লাঞ্ছনার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জোরালো হচ্ছে। যদিও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষণিক নিস্পত্তি করা হয়।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভাষা রায় বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম শ্রেণির কক্ষে পাঠদান করছিলেন। এসময় বিদ্যালয়ের অন্য শিশুদের সঙ্গে আসা ভর্তি বিহীন এক শিশুকে দেখে তিনি দপ্তরির মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিছু সময় পর আটঘর গ্রামের লায়েক খান বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে তার ছেলেকে বের করে দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে শিক্ষিকার ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে শিক্ষিকাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন লায়েক খান। এসময় ওই শিক্ষিকার চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন। খবর পেয়ে উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুু চাই মারমাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে লায়েক খান ক্ষমা চান।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভাষা রায় বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এখন কথা বলতে পারছি না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনিল দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। পরে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
সভায় উপস্থিত শিক্ষক নেতা শাহাজাহান সিরাজী বলেন, নারী শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা মর্মাহত। শিক্ষিকার উপর হামলা করে ক্ষমা চেয়ে শেষ এটা মানতে পারছেন না শিক্ষক সমাজ।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। অবিলম্বে এ বিষয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।