• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে আওয়ামী লীগের ১৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

The Wall News.Com
প্রকাশিত আগস্ট ২১, ২০২৪

ওয়াল নিউজ ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেটের বিশ্বনাথে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ৪ আগস্ট আল-হেরা শপিং সিটিতে ভাঙচুর-লুটের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ১৪ দিন পর রোববার শপিং সিটির চেয়ারম্যান ছাদেকুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, আইনজীবী’সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৮৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং আরো ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন।
বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শামীম আহমদকে প্রধান অভিযুক্ত করে দায়ের করা মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- মোল্লারগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়া ছেলে ফজর আলী (বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর), শাহজিরগাঁও গ্রামের মৃত আরজান আলীর ছেলে রফিক আলী (বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি), চান্দশীরকাপন গ্রামের সুনু মিয়ার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছুরত আলী বাবুল, জানাইয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রিপন আহমদ (ছাত্রলীগ নেতা), পূর্ব চান্দশীর কাপন গ্রামের রিয়াজ মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক), সেনারগাঁও গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে আশিক আলী (উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য), চৌধুরীগাঁও গ্রামের ছোরাব আলীর ছেলে রাজু আহমদ খান (পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য), শাহজিরগাঁও (দূর্গাপুর-কারিকোনা) গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে ফারাবি ইমন ইসলাম (ছাত্রলীগ নেতা), শাহজিরগাঁও গ্রামের গৌছ মিয়ার ছেলে আব্দুল হক (যুবলীগ নেতা), শরিষপুর গ্রামের মৃত জয়দু মিয়ার ছেলে রফিক আলী (যুবলীগ নেতা), শাহজিরগাঁও গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে ফয়জুল ইসলাম জয় (উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক), জানাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে আবুল হোসেন, একই গ্রামের মৃত মবশ্বির আলীর ছেলে আজব আলী (পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য), জাহারগাঁও গ্রামের ওয়ারিছ খানের ছেলে রুহেল খান (যুবলীগ নেতা), জানাইয়া গ্রামের আব্দুল খালিক মিয়ার ছেলে সুজেল আহমদ, বাইশঘর গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে মো. জহির, জানাইয়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে আহমদ আলী, একই গ্রামের জুনাই, আব্দুল মালিকের ছেলে রাজন মিয়া (উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক), কাশিমপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল হাকিম, জানাইয়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে সমর আলী, একই গ্রামের সমুজ আলীর ছেলে নাসির মিয়া (যুবলীগ নেতা), তেলিকোনা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট (যুবলীগ নেতা), বিলপার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন (উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক), জানাইয়া গ্রামের ছাত্তার মিয়ার ছেলে নাসির আহমদ রাজ, মুফতিরগাঁও গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন মামুন (ছাত্রলীগ নেতা), বিশ্বনাথ পুরান বাজারের রতন মিয়ার ছেলে ফয়ছল মিয়া (স্বেচ্ছাসেবক লীগ), জানাইয়া গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে কামরান আহমদ (ছাত্রলীগ নেতা), একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে জুবেদ আহমদ আসলাম (ছাত্রলীগ নেতা), ময়না মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া, বিশ্বনাথ পুরান বাজারের শামীম আহমদের ছেলে আল-আমিন, সরুয়ালা গ্রামের আজিজুলের ছেলে নাহিদ আহমদ, গোয়াহরি গ্রামের নেছার আলীর ছেলে এনামুল হক সম্্রাট, হাবড়া গ্রামের আজফর আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান, কামালপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. হিমেল, শাহজিরগাঁও গ্রামের মামুনের ছেলে শেখ সাদ্দাম, মোহাম্মদপুর গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে রাজন আলী, কাশিমপুর গ্রামের গৌছ মিয়ার ছেলে এনামুল ইসলাম (যুবলীগ নেতা), মোল্লারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে উজ্জল আহমদ (ছাত্রলীগ নেতা), ইলামেরগাঁও গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে ইব্রাহিম আলী (ছাত্রলীগ নেতা), সেনারগাঁও গ্রামের সাজই মিয়ার ছেলে সাদিক আহমদ, জানাইয়া গ্রামের চান্দ আলীর ছেলে জামাল আহমদ, চৌধুরীগাঁও গ্রামের ছোরাব আলী (উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি), শাহজিরগাঁও (দূর্গাপুর-কারিকোনা) গ্রামের মছদ্দর আলীর ছেলে আব্দুল মতিন (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক), চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে আবুল কাহার, দোহাল গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে হোসাইন আহমদ, পাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক), পূর্ব চান্দশীরকাপন গ্রামের তবারক আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম রুকন, জানাইয়া গ্রামের মৃত সমর আলীর ছেলে কয়েস আহমদ (ছাত্রলীগ নেতা), একই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে ইসলাম আহমদ, আব্দুল ছাত্তারের ছেলে দিলোয়ার ফয়ছল, আলাল মিয়ার ছেলে সুহেদ আহমদ, আকরম আলীর ছেলে জয়নাল, শ্রীধরপুর গ্রামের রোকন আলীর ছেলে আব্দুল বাতিন (সিলেট ল’কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি), একই গ্রামের শাহজাহান সিরাজের ছেলে রেজা মিয়া (ছাত্রলীগ নেতা), জানাইয়া গ্রামের মবশ্বির আলীর ছেলে সুন্দর আলী (উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি), গন্ধারকাপন গ্রামের নেপুর আলীর ছেলে বাবুল মিয়া, জানাইয়া গ্রামের আব্দুল ছাত্তারের ছেলে সেবুল মিয়া, একই গ্রামের বাছা মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (যুবলীগ নেতা), মাসুক মিয়ার ছেলে সালমান, বিশ্বনাথ নতুুুন বাজারের হেলাল আহমদ (যুবলীগ নেতা), জানাইয়া গ্রামের সমুজ আলীর ছেলে আবুল মিয়া, একই গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে মৌরশ আলী, মুফতিরগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাজন আহমদ অপু (যুবলীগ নেতা), কামালপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে রাসেল আলী (আওয়ামী লীগ নেতা), ধীতপুর গ্রামের আকরম আলীর ছেলে ফারুক মিয়া, কালীগঞ্জ বাজারের রুকন আলীর ছেলে মাসুম আহমদ, সেনারগাঁও গ্রামের জয়নাল আহমদ, রাজনগর গ্রামের জমির মিয়ার ছেলে আবিদুর রহমান (ছাত্রলীগ নেতা), গন্ধারকাপন গ্রামের কামরান আহমদ, বিশ্বনাথ টিএনটি রোডের শেখ জামালের ছেলে শেখ জামিল, চৌধুরীগাঁও গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে জহির আহমদ, বিশ্বনাথ নতুন বাজারের তোবারক আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, একই এলাকার হাবিবুর রহমান হাবিব, চান্দভরাং গ্রামের দবির মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া, সাবসেন গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে মাসুক মিয়া, শরিষপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মাসুম, বড় খুরমা গ্রামের আলমাস আলীর ছেলে রেহান মিয়া, একই গ্রামের জহুর আলীর ছেলে রুকন নিয়াজি, দশপাইকা (ধনপুর) গ্রামের ওয়াহাব আলী (আওয়ামী লীগ নেতা), শাহজিরগাঁও গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে ফয়ছল, বিশ্বনাথ বাজারের মৃত তুতু মিয়ার ছেলে রুপা মিয়া।
মামলার লিখিত অভিযোগে বাদী বাদী উল্লেখ করেছেন ঘটনার দিন (৪ আগস্ট) সারা দেশেরন্যায় বিশ্বনাথে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য অভিযুক্তরা বে-আইনীভাবে মিলিত হয়ে লাঠি-সোটা, রামদা-রড, জিআই পাইভ, হকিস্টিক ইত্যাদি অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে থানার সম্মুখে অবস্থিত মুসলিম সুইট মিট হতে বাসিয়া সেতুর উপর অবস্থান করতে থাকে। এর একপর্যায়ে সকাল ১১.৪৫টার দিকে তারা মিছিল সহকারে বাসিয়া সেতু থেকে আল-হেরা শপিং সিটির সামনে গিয়ে জনমনে ত্রাস সৃস্টি করে বিশৃঙ্খলা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আল-হেরা শপিং সিটিতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মার্কেটের সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে মার্কেটে লুটপাট করা হয়।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।